বারোবাজার থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে সাতগাছিয়া মৌজায় বিরাট আকারের সাতগাছিয়া-আদিনা মসজিদটি অবস্থিত। আদিনা শব্দের অর্থ শুক্রবার । ১৯৮৩ সালে বিরাট আকারের ঢিবির কিছু অংশ স্থানীয় জনগণ খনন করে। এর কিছু অংশ থেকেই ১৬টি থাম ও পোড়ামাটির নকশাসহ পাঁচটি মেহরাব বিশিষ্ট চমৎকার এ মসজিদের সন্ধান মেলে। ১৯৯৩ সালে পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও প্রত্নতত্ব বিভাগ খননের মাধ্যমে ৪৮টি স্তম্ভের উপর ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি আবিস্কার করে। মসজিদের উপরে কোন গম্বুজ নেই। এ মসজিদ এলাকাটি অনেকটা নির্জন এবং জঙ্গলাকীর্ণ।
বারোবাজার ভগ্নস্তুপ থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো মসজিদ আবিস্কৃত হয়েছে তার মধ্যে আয়তনে এটিই সবচেয়ে বড়। এর প্রবেশ পথ পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণে। মসজিদে মোট ১৭টি প্রবেশ পথ আছে। পশ্চিম দেয়ালে সাতটি মেহরাব আছে। ঘন্টা, চেইন, ফুল, গোলাপ ফুল, বৃক্ষ, পাতা, ফুলের কুঁড়ি প্রভৃতি মেহরাবের সজ্জা হিসেবে অতি চমৎকার ভাবে অঙ্কিত আছে। মেঝেতে ৩টি প্লাটফর্মে বিভাজিত।
বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের সাথে এ মসজিদের ভিতরকার নির্মাণ পরিকল্পনার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। ষাট গম্বুজ মসজিদের নির্মাণকাল পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিক। নির্মাণ ও পরিকল্পনায় সাদৃশ্য থাকার কারণে আদিনা মসজিদের নির্মাণ কালও এটাই ধরা হয়। এ মসজিদটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম মসজিদের অন্যতম বলা যায়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS